“আমি খুব অবাক হয়ে যাই যখন দেখি স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও রাজাকারের সন্তানরা দম্ভ করে বলে আমি রাজাকারের সন্তান। রাজাকারের সন্তানদের দম্ভ চূর্ণ করতে হবে।” – আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।
২৮ জুলাই দুপুরে ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য ‘নির্ভীক’ এবং নোয়াখালী জেলা পুলিশের তিনটি নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন করেছে তাদের যে আত্মত্যাগ তা এদেশের মানুষের স্মরণ করতে পারে। আজকে যেখানে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে তা সম্ভব হয়েছে এদেশের লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণের আহ্বান।
আই জি পি এর বক্তব্যর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ৭১ স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের উত্তরসূরি যারা আজও তাদের পূর্বসূরিদের আদর্শে অনুপ্রাণিত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার প্রত্যয় ব্যাক্ত করছে।
নোয়াখালীর আঞ্চলিক , রেঞ্জ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আই জি পি , বেনজির আহাম্মদ, আপনাকে ধন্যবাদ না জানালে ভুল হবে। জীবনকে বাজি রেখে ১৯৭১ সালে আমরা যারা যোদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলাম এবং শেষ অবদি লাল সবুজের পতাকা বঙবন্ধুকে উপহার দিতে পেরে যে শান্তি পেয়েছিলাম ঠিক তদরুপ শান্তি পাছ্ছি আপনার বক্তব্যগুলো শুনে, জানি না বাস্তবে কি রুপ হবে। আমার শুধু একটি অনুরোধ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বয়স একটু মওকুফ করে হলেও তাদের চাকুরীর ব্যবস্হা করে দিন। কারন পুলিশের একটি সিপাহি পদের চাকুরীর জন্যও ঘোষ লাগে ৮/১০ লক্ষ টাকা আর সাব ইন্সপেক্টর পদের জন্য লাগে ১৫/২০ লক্ষ টাকা যা কোন মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। কারন মুক্তিযোদ্ধারা পূর্বেও গরীব ছিল এখনও গরীবের আছে অধিকাংশ।। কোন বড় লোকের সন্তানেরা মুক্তিযোদ্ধ করে নাই।। তাই যদি সম্ভব হয় এ কাজটি আপনার হাতে হউক, এ আশা করি। কারন স্বাধীনতার পর আপনার মত এ ধরনের বক্তব্য আর শুনি নাই। আপনি পারবেন এ আশা করি। এ কাজটি করতে হলে অনেক সাহস ও হিম্মতের দরকার হবে।।